![]() |
কিউরিটি ক্যামেরা |
সিকিউরিটি ক্যামেরা
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের লেখা। প্রজুক্তিময় এই বিশ্বে সব কিছুই আপনার নাগালের মধ্যেই । আপনার সব কিছু সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে সেটা বলছি না তবে প্রযুক্তির যে বিষয় গুলো সম্পর্কে না জানলেই নয় তা সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই ধারণা রাখতে হবে। যেমন ধরি সিকিউরিটি ক্যামেরা । আগে একটা সময় ছিল যখন সিকিউরিটি ক্যামেরা ব্যাবহার করা হত শুধু বড় প্রতিস্টান গুলোতে। কিন্ত এখন শপিং সেন্টার গুলোতে গেলে দেখবেন প্রতিটি দোকানে সিকিউরিটি ক্যামেরা লাগানো আছে। এমন কি বাসা বাড়িতে নিরাপত্তার জন্য সিকিউরিটি ক্যামেরা ব্যবহার ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। এর মুল
আসুন তাহলে জেনে নিই বিভিন্ন ধরণের সিকিউরিটি ক্যামেরা সম্পর্কে । একটি বেচে নিতে পারেন আপনার নিজের জন্য ।
১। ডোম ক্যামেরা
এই ক্যামেরা খুব সহজে আপনার বাসা বা অফিসের সিলিং এ লাগিয়ে দিতে পারেন । যেহেতু এটি কালো গ্লাস দিয়ে আবৃত থাকে তাই এটি ঠিক কোন দিকে পয়েন্ট করে আছে তা বুঝা যায় না । দু – ধরণের ডোম ক্যামেরা পাওয়া যায় । একটি সাধারণ প্লাস্টিক তৈরি অন্যটি মেটাল দিয়ে তৈরি । মেটাল বডি ডোম ক্যামেরা ব্যবহার করলে তা সহজে ভেঙ্গে ফেলা যায় না । এটি নির্দিষ্ট পরিমাণ এলাকা কাভার করতে পারে । সাধারণত আফিসে এই ক্যামেরা ব্যাবহার করা হয়।![]() |
সিকিউরিটি ক্যামেরা |
২। বক্স ক্যামেরা
দূরবর্তী কোন এলাকা কাভার করার জন্য বক্স ক্যামেরা ব্যাবহার করা হয়। কম আলোতেও এটি খুব ভাল কাজ করে । কেউ এই ক্যামেরার এরিয়ার মধ্যে আসলে এটি বোঝতে পারে। পাশাপাশি আলো কমলে বা বেড়ে গেলে এটি নিজে থেকেই এডজাস্ট করে নেয় কারণ এটি ইনফ্রা রেড সেনসিটিভ । উপর থেকে কোন কিছু পর্যবেক্ষণ করতে এই ক্যামেরা ব্যাপক ভাবে ব্যাবহারিত হয়।![]() |
সিকিউরিটি ক্যামেরা |
৩। ইনফ্রা- রেড ক্যামেরা – অন্ধকারের সৈনিক খ্যাঁত এই ক্যামেরা কাজ করবে রাতের অন্ধকারে । এটি অনেক দূরে স্থাপন করে শত্রুকে খুব সহজে ফাঁকি দেয়া যায় । এটি কেনার সময় এর ইলউমিনেশান ক্ষমতা দেখে নিবেন । এই ক্যামেরার সাথে যদি 30 LED নির্দেশ করা থাকে তাহলে বোঝতে হবে এটি ৩০ ফিট পর্যন্ত কাভার করতে পারবে। বাজারে বিভিন্ন মানের ইনফ্রা রেড ক্যামেরা আছে । যাচাই করে দেখুন কোনটা কত দিন টেকসই করবে। তবে এই ক্যামেরার ক্ষেত্রে একটা কথা বলে রাখা যায় সেটি হচ্ছে অন্য ক্যামেরা থেকে এটি একটু কম টেকসই ।
![]() |
সিকিউরিটি ক্যামেরা |
৪। বুলেট ক্যামেরা – এই ক্যামেরাটি স্বল্প ও মধ্যবর্তি দূরত্বে কাজ করে।মোটামুটি আলোর মধ্যে এটি ভাল কাজ করে । সংকীর্ণ কোন স্থান থেকে নজরদারি করার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।
![]() |
সিকিউরিটি ক্যামেরা |
৫। স্পাই ক্যামেরা – এই ক্যামেরা গুলো দেখলে বুঝার কোন উপায় নেই যে এগুলো ক্যামেরা । এগুলো হতে পারে বিভিন্ন সাইজের । এই ক্যামেরা ব্যাবহার করার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা আছে। আপনি চাইলে ইচ্ছে মত যেখানে সেখানে এই ক্যামেরা ব্যাবহার করতে পারবেন না । স্পাই ক্যামেরা অনেক ধরনের হতে পারে যেমন – স্মোক ডিটেক্টর, কলম, ঘড়ি, বোতাম মধ্যে লুকানো থাকতে পারে ।
![]() |
সিকিউরিটি ক্যামেরা |
![]() |
সিকিউরিটি ক্যামেরা |
![]() |
সিকিউরিটি ক্যামেরা |
৬। ওয়্যারলেস ক্যামেরা – এমন কোন স্থানে যেখানে আপনি তার ব্যবহার করতে পারছেন না, সেখানে আপনি এই ক্যামেরা ব্যাবহার করতে পারেন। তবে মনে করবেন না যে ক্যামেরা পাওয়ারও ওয়্যারলেস রিসিবার দিয়ে সম্ভব । কত দূর থেকে আপনি সিগনাল রিসিভ করবেন তা পুরোটাই নির্ভর করবে ট্রান্সমিটার ও রিসিবারের ক্ষমতার উপর । এটি সর্বোচ্চ 1000m পর্যন্ত এলাকা কাভার করতে পারে ।
![]() |
সিকিউরিটি ক্যামেরা |
৭। পেন টিল্ট ঝুম ক্যামেরা – আপনি যদি আপনার ক্যামেরাকে লাইভ কন্ট্রোল করতে চান তাহলে এই ক্যামেরা ব্যাবহার করতে পারেন । আপনি চাইলে নির্দিষ্ট এলাকাই মুভ করার জন্য এই ক্যামেরা সেট করে দিতে পারেন । আপনি বিভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখতে পারেন । ঝুম করে করে দেখতে পারেন 36x পর্যন্ত। এটি প্রি-সেটাপে ও খুব ভাল কাজ করে।
![]() |
সিকিউরিটি ক্যামেরা |
৮। আউটডোর ক্যামেরা – এই ক্যামেরাটি ওয়েদার প্রুফ । রোধ , বৃষ্টি , ধুলাবালি সব কিছুতেই ওস্তাদ বলা চলে। অফিস ,মার্কেট বা খোলা জায়গায় এটি খুব ভাল কাজ করে । বর্তমানে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে এই ক্যামেরা ব্যাবহার করে হয়ে থাকে । পাশাপাশি আমাদের দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্তা গুলো বিভিন্ন জায়গায় সভা সমাবেশের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য এই ক্যামেরা ব্যাবহার করে থাকে ।
![]() |
সিকিউরিটি ক্যামেরা |
৯। নাইট ভিশন ক্যামেরা – সম্পূর্ণ অন্ধকার এলাকা আপনার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসতে চাইলে এই ক্যামেরার জুড়ি নেই । বাজারে বিভিন্ন দামের নাইট ভিসন ক্যামেরা আছে । নাইট ভিশনের অত্যাধুনিক একটি ক্যামেরা বাজারে পাওয়া যায় যেটি PTZ নাইট ভিসন ক্যামেরা নামে পরিচিত এবং এ ক্যামেরাটি অনেক শক্তিশালী। এটি সর্বোচ্চ ২ মাইল পর্যন্ত যেকোন জিনিস খুব কাছে নিয়ে এসে দেখতে পারে ।
![]() |
সিকিউরিটি ক্যামেরা |
১০। স্পাই ড্রন – এই ক্যামেরাটিকে বলা হয় বিশ্বের সব চেয়ে শক্তিশালী ক্যামেরা । এটি ব্যাবহার করা হয় যুদ্ধ ক্ষেত্রে । আসুন জেনে নিই এর ক্ষমতা । এটি ১৭৫০০ ফিট উপর থেকে চিহ্নিত করতে পারে আপনি কোন মোবাইলটি ব্যাবহার করছেন । ৬ ইঞ্চি সাইজের যেকোন বস্তু মাটি থেকে ঝুম করে দেখার ক্ষমতা আছে । একটি সিঙ্গেল ইমেজে ১৫ স্কয়ার মাইল পর্যন্ত কাভার করতে পারে ।
![]() |
সিকিউরিটি ক্যামেরা |
উল্লেখ্য যে সিকিউরিটি ক্যামেরা গুলোর মূল্য দেওয়া হয়নি কারণ এগুলো তাদের ক্ষমতা আনুসারে বিভিন্ন ধরণের হতে পারে । পাশাপাশি অধিকাংশ ক্যামেরার ঝুমিং রেঞ্জ দেওয়া হয়নি কারণ দামের উপর ভিত্তি করে ঝুমিং ক্ষমতাও ভিন্ন হতে পারে ।
বর্তমানে সব ক্যামেরাই নাইট ভিশন ব্যবস্থা আছে । তারপরেও যারা ক্যামেরা কিনবেন তারা অবশ্যই দেখে কিনবেন ।
আশা করি পোস্টি আপনার কাজে লাগবে । আজ তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি । আল্লাহ হাফেজ । সবাই ভাল থাকবেন ।
পোস্টটি লিখেছেন মইন উদ্দীন।
কপি করবেন না, প্রয়োজনে সোর্স উল্লেখ করুন। আর হে ভাল লাগলে নিচের যেকোন একটি সোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
কপি করবেন না, প্রয়োজনে সোর্স উল্লেখ করুন। আর হে ভাল লাগলে নিচের যেকোন একটি সোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
0 comments:
Post a Comment