বন্ধুরা কেমন আছেন। আশা করি অনেক ভাল আছেন। আমরা অনেকেই হাত ঘড়ি ব্যবহার করি। টি- শার্টের সাথে বা যে কোন ধরণের কাপড়ের সাথে একটি সুন্দর হাত ঘড়ি আপনাকেও অনেক সুন্দর করে তুলতে পারে। আর এখন দামী ঘড়ি কেনার জন্য অনেক টাকা খরচ করার প্রয়োজন নেই । দামী দামী ব্র্যান্ডের ঘড়ি গুলো নাম মাত্র মূল্যে পাচ্ছেন আপনার হাতের কাছেই। যদিও এই ঘড়ি গুলোর স্থায়ীত্ব বেশি নয়। কিন্ত একটি ভাল ব্র্যান্ডের ঘড়ি আপনার আত্ম-বিশ্বাসকে অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ১০ ঘড়ির সাথে । এই ঘড়ি গুলো নিঃসন্দেহে আপনাকে অবাক করবে।
১। এই ঘড়িটির নাম Greubel Forsey Invention Piece 2 Quadruple Tourbillon
এই ঘড়িটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ঘড়ি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটির মূল্য ৭৫০,০০০ ডলার। বাংলাদেশী টাকায় এটির মূল্য ৫৮৫,৮৬,০৬৩ টাকা ।
২। এই ঘড়িটির নাম Romain Jerome Titanic DNA Tourbillon।
পৃথিবীতে এই রকম ৯টি ঘড়ি তৈরি করা হয়। মূলত বিশ্ববিখ্যাত ধনী ব্যাক্তিদের জন্য এই ঘড়ি তৈরি করা হয়। এটির মূল্য ৩১৯,০০০ ডলার। বাংলাদেশী টাকায় এটির মূল্য ২৪৯,১৮,৬০৫ টাকা ।
৩। এটির নাম Roger Dubuis Millesime Double Flying Tourbillon।
এটি ডিজাইন করেছেন রজার ডুবিয়াস। পৃথিবীতে এই ধরনের ৮৮ ঘড়ি আছে। এটির মূল্য ২৬৩,০০০ ডলার। বাংলাদেশী টাকায় এটির মূল্য ২০৫,৪৪,১৭৯ টাকা ।
৪। এই ঘড়িটির নাম Zenith Christopher Columbus.
অল্পসংখ্যক ধনী ব্যাক্তিগণ এই ঘড়িটি ব্যবহার করে থাকেন। এটির মূল্য ২৩০,০০০ ডলার। বাংলাদেশী টাকায় এটির মূল্য ১৭৯,৬৬,৩৯২ টাকা ।
৫। এই ঘড়িটির নাম Piaget Altaplano Caliber 1200 D.
যারা জেমস্টোন (Gemstone) দিয়ে ডিজাইন করা ঘড়ি পছন্দ করে থাকেন, তাহলে এই ঘড়িটি ব্যবহার করতে পারেন। ঘড়িটির ভিতরের স্ট্রাকাচার (Structure) উচ্চ মানের ডায়মন্ড দিয়ে তৈরি। এটির মূল্য ১৫১,৯৯৫ ডলার। বাংলাদেশী টাকায় এটির মূল্য ১১৮,৭৩,০৫১ টাকা ।
৬। এই ঘড়িটির নাম Cartier Rotonde de Cartier Astrotourbillon.
কারটার নামক একটি প্রতিষ্ঠান এই ঘড়িটি বাজারে নিয়ে আসছে। এই প্রতিষ্ঠানটি ঘড়ি তৈরিতে অনেক পুরাতন একটি প্রতিষ্ঠান। এটির চারদিকে সাদা স্বর্ণের কেস আছে। এটির মূল্য ১১৬,১৯৫ ডলার।
বাংলাদেশী টাকায় এটির মূল্য ৯০,৭৬,৫৪৩ টাকা ।
৭। এটির নাম Hublot Big Bang Ferrari King Gold.
এটির মূল্য ৪৩,৬০০ ডলার। বাংলাদেশী টাকায় এটির মূল্য ৩৪,৮৮,০০০ টাকা ।
৮। এটির নাম Audemars Piguet Royal Oak Offshore Rubber Clad.
এই ঘড়িটির মধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ। এটি থ্রি ডায়াল সিস্টেমে নির্মিত । এটির মূল্য ৩৬,৬৩০ ডলার । বাংলাদেশী টাকায় এটির মূল্য ২৮,৬১,৩৪২ টাকা ।
৯। এই ঘড়িটির নাম Rolex GMT Master II.
এই ঘড়িটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৮ ক্যারেটের সাদা স্বর্ণের কেস। এটির মূল্য ৩৩,২৫০ ডলার। বাংলাদেশী টাকায় এটির মূল্য ২৫,৯৭,৩১৫টাকা ।
১০। সবার শেষ যে ঘড়িটির সাথে পরিচয় করিয়ে দেব সেটি হচ্ছে Bvlgari Diagono Chronograph.
পপ মিউজিশিয়ানরা এই ঘড়িটি ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করে থাকে। এটির মূল্য ১৬,৯০০ ডলার। বাংলাদেশী টাকায় এটির মূল্য ১৩,২০,১৩৯ টাকা ।
বন্ধুরা দেখলেন ত এই ঘড়ি গুলোর মূল্য আপনার কল্পনার চেয়েও অনেক বেশি। বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত ধনী ব্যাক্তি যার নাম ইতিমধ্যেই আপনারা জেনে গিয়েছেন ও পত্র-পত্রিকায় পড়েছেন, রোলেক্সের (Rolex) একটি ঘড়ি ব্যবহার করেন যার বাংলাদেশি মূল্য ৩৯০,৫৭,৩৭৫ টাকা । রোলেক্সে বিশ্বের ধনী বেক্তিদের অর্ডারে নির্দিষ্ট ডিজাইনের ঘড়ি তৈরি করে থাকে। আন্তর্জাতিক মিডিয়া গুলো তার এই ঘড়ির মূল্য ৫ মিলিয়ন ডলার বা ৩৯০৫৭৩৭৫ টাকা উল্লেখ করে এবং এই ঘড়িটি শুধু তার জন্য বানানো।
আজ তাহলে এই পর্যন্ত । সবার সুস্থতা কামনায় এখানেই শেষ করছি ।
আমার আরও একটি লেখা পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
পোস্টটি লিখেছেন মইন উদ্দিন
কপি করবেন না, প্রয়োজনে সোর্স উল্লেখ্য করুন।
কপি করবেন না, প্রয়োজনে সোর্স উল্লেখ্য করুন।
0 comments:
Post a Comment