সবাইকে অনেক শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু আজকের লেখা। আজ আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব বিভিন্ন ধরণের হেডফোনের সাথে । আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করি সবারই ছোট বড় বিভিন্ন ধরণের হেডফোন আছে। যখনই আমাদের হেডফোন প্রয়োজন হয় বাইরে থেকে ইচ্ছে মত কিনে নিয়ে আসি। কিন্ত আমরা চিন্তা করে দেখিনা, এই হেডফোন গুলো আসলে আমাদের চাহিদার সাথে কতটুকু মিল রেখে কেনা। আজ আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরণের হেডফোন নিয়ে আলোচনা করব, যেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দের হেডফোনটি বেছে নিতে পারবেন ।
১। প্রথমে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব বাহ্যিক শব্দমুক্ত (Noise-Canceling) হেডফোনের সাথে । আপনি যদি লম্বা সময় ধরে হেডফোন ব্যবহার করে থাকেন তাহলে এই ধরনের হেডফোন ব্যবহার করতে পারেন। পাশাপাশি যারা ভিডিও বা অডিও নিয়ে কাজ করে থাকেন তাদের জন্য এই ধরণের হেডফোন কাজে আসতে পারে। এটি এমনকি বাইরে থেকে আসা শব্দও প্রতিরোধ করতে পারে।
২। এরপর আছে on-ear and over-ear হেডফোন। অনইয়ার হেডফোনের সাউন্ড ডাইস গুলো আপনার কানের উপর থাকে তাই লম্বা সময় ধরে ব্যবহার করলে আপনার কানে ব্যথা অনুভব হতে পারে। যদিও অনেকই এই হেডফোন গুলো সাচ্ছন্দে ব্যবহার করেন। আর ওভার ইয়ার হেডফোন গুলোর সাউন্ড ডাইস গুলো পুরো কান ডেকে ফেলে তাই আপনি চাইলে এই হেডফোন গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
৩। এখন পরিচয় করিয়ে দিব ওয়ারলেস হেডফোনের সাথে। আমি নিজে একটি ওয়ারলেস হেডফোন ব্যবহার করে থাকি সত্যি বলতে এই ধরণের একটি হেডফোন আপনাকে নতুন ধরণের অভিজ্ঞতা দিতে পারে। বিশেষ করে তার বিহীন হওয়ার কারণে এটি নিয়ে ইচ্ছে মত নড়াচড়া ও চলাফেরা করতে পারবেন, যা ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই প্রয়োজন। এই ধরণের হেডফোন গুলো তুলনামূলক ভাবে একটু বেশি দামী হয়ে থাকে।
৪। ব্লু-টুথ হেডফোনঃ ওয়্যারলেস হেডফোনের স্বাধীনতার স্বাদে আরও বড়িয়ে দিতে আছে ব্লু-টুথ হেডফোন। এটি ব্যবহার করতে পারবেন আপনার মোবাইল , ডেস্কটপ ও ল্যাপটপের সাথে। একটি বিষয় লক্ষণীয় যে এই হেডফোন গুলো যেহেতু তার বিহীন তাই এই হেডফোন গুলোতে ব্যাটারি লাগানো থাকে । তাই ব্যাটারির চার্জ ,ওজন ও আকারের দিকে লক্ষ্য রেখে কিনবেন।
৫। ইয়ার হেডফোনঃ এই ধরণের হেডফোন গুলো আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে থাকি মোবাইল ও বিভিন্ন ডিভাইসের সাথে । বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৬০০ টাকা পর্যন্ত ইয়ার হেডফোন পাওয়া যায়। কেনার সময় যাচাই করে দেখুন ইয়ার হেড ফোনটি কতটুকু ব্যবহার উপযোগী। যেহেতু আপনি অধিকাংশ সময় এই ধরণের হেডফোন ব্যবহার করে থাকেন তাই একটু দাম দিয়ে ব্র্যান্ডেরটা কেনার চেষ্টা করবেন।
আশা করি এই লেখাটি পড়ে বোঝতে পারবেন আপনার কি ধরণের হেডফোন কেনা দরকার।যেতে যেতে কিছু কথা বলি। আচ্ছা অসম্ভব বা Impossible শব্দটি শুনলে আপনার মধ্যে কেমন অনুভূতির সৃষ্টি হয় । মনে হয়কি এই শব্দটির মাঝে অনেক হতাশা, ভয়, কান্না আর অপ্রাপ্তি লুকিয়ে আছে ? কিন্ত এই শব্দ নিজেই বলছে আপনার মনের এই ভাবনা সম্পূর্ণ ভুল। শব্দটি যদি আমরা একটু ভেঙ্গে পড়ি তাহলে বুঝতে পারব এর অন্তর্নিহিত নির্যাস এই রকম I’m possible ।
নতুন কোন লেখা নিয়ে আবারও দেখা হবে । সবাই ভাল থাকবেন।
পোস্টটি লিখেছেন মইন উদ্দিন
কপি করবেন না, করলে সোর্স উল্লেখ্য করে করবেন। ধন্যবাদ।
কপি করবেন না, করলে সোর্স উল্লেখ্য করে করবেন। ধন্যবাদ।
শেষের অংশটা ভাল লাগল। ধন্যবাদ!
ReplyDelete