কেমন আছেন সবাই। গত পর্বে অ্যাপস বানানোর আগের বেশ কিছু করনীয় সম্পর্কে লিখেছিলাম। আজ তার একটা সমাপ্তি টানতে যাচ্ছি। এই দুটি পর্ব ভাল ভাবে পড়লে, আশা করি বুঝতে পারবেন অ্যাপস বানানোর আগে আপনাকে কি কি করতে হবে।
১। অ্যাপস স্টোরের বাইরে আপনার অ্যাপস-কে পরিচিত করানোর প্রয়োজন আছে। আপনার নিজের ওয়েবসাইট দিয়ে অ্যাপসটি সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য তুলে ধরতে পারেন। চাইলে একটি ব্লগস্পট (Blogspot) সাইট করেও আপনি অ্যাপস-টি সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য তুলে ধরতে পারেন। পাশাপাশি আপনার অ্যাপস ব্যবহারকারীদের সেবা দেওয়ার জন্য অ্যাপসটির উপর ভিত্তি করে একটি ফেসবুক পেইজ খুলতে পারেন। সম্ভব হলে ফোরামের মাধ্যমেও সেবা দিতে পারেন। অর্থাৎ আপনি ও ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটি ভাল সম্পর্কে গড়ে তুলেতে হবে।
২। আপনার অ্যাপস, অ্যাপস স্টোরে আপলোড করার পর প্রতিটি মুহূর্ত আপনার জন্য গুরুত্তপূর্ণ। লক্ষ্য রাখুন, অ্যাপসটির কোন বিষয়টি ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করছে আর কোন বিষয়টি তাদের বিরক্তির কারণ হচ্ছে। ধাপে ধাপে অ্যাপসটি আরও উন্নত করার চেষ্টা করুন। আপনি আপনার অ্যাপসটি বিভিন্ন ব্রান্ডের স্মার্টফোনে ইন্সটল করে দেখতে পারেন । তাহলে বুঝবেন অ্যাপস-টি ইন্সটলে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা। কারণ একজন ব্যবহারকারী হতাশ হওয়া মানে একজন ব্যবহারকারী কমে যাওয়া। পাশাপাশি অ্যাপস স্টোরে একটি খারাপ কমেন্ট মানে নতুন-রা আপনার এই অ্যাপস ব্যবহার করতে উৎসাহিত হবে না।
৩। এবার আসুন দেখে নিই, কিভাবে অনেক গুলো অ্যাপসের মধ্যে আপনার অ্যাপসটি জনপ্রিয় করে তুলবেন। এজন্য প্রয়োজন মার্কেট রিসার্চ , এজন্য ব্যবহার করতে পারেন অত্যন্ত কার্যকরী টুল App Anne. এই টুলের সহায়তায় জানতে পারবেন আপনার অ্যাপস সম্পর্কে সবকিছু। App Anne এ যেতে এখানে ক্লিক করুন।
৪। প্রথম সপ্তাহের রিটেনশান (যারা আপনার অ্যাপসটি বার বার ব্যবহার করে এবং আপনার অ্যাপস পেইজ এ ফিরে আসে) পরীক্ষা করে দেখুন। পরীক্ষা করে দেখুন, কোন চ্যানেল থেকে সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারী এসেছে। প্রথম সপ্তাহে ১০ হাজার অ্যাপস ডাউনলোড হলে অনেকেই মনে করে অ্যাপসটি ব্যবহারকারীরা পছন্দ করেছে। কিন্ত আপনার এই ধারণা ভুল হতে পারে, যদি ঐ ১০ হাজার ডাউনলোড কারীর ৫ ভাগ লোক এই অ্যাপসটি ব্যবহার করে আর এই তথ্যটি পাবেন রিটেনশান রিপোর্টের মাধ্যমে। রিটেনশান থেকে জানতে পারবেন কতজন ব্যবহার কারী কতবার আপনার অ্যাপসটি ব্যবহার করেছে।কতজন একবার ডাউনলোডের পর আর অ্যাপসটি অপেন করেনি। এই টুল ব্যবহার করে আপনি ব্যবহার কারীর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
৫। সফটওয়্যার যেমন বিভিন্ন সময় পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা হয় তেমনি অ্যাপস ও নির্দিষ্ট সময় পর পর পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে হয়। ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করতে পারেন। পাশাপাশি ইমেইল , অ্যাড বা অ্যাপস মেসেজের মাধ্যমে ও আপনি আপনার ব্যবহার কারীদের নতুন ফিচার সম্পর্কে জানাতে পারেন।
৬। অ্যাপসের সাথে অতিরিক্ত অ্যাড সংযোজন করার মাধ্যমে কিন্ত আপনার অ্যাপসের গুরুত্ত্ব কমে যায়। অ্যাপসের সাথে এমন কোন অ্যাড দিবেন না ব্যবহারকারীদের হতাশ করে । তাই খুব প্রয়োজন না থাকলে যেখানে সেখানে অ্যাড দিবেন না।
৭। অ্যাপসের রোডম্যাপ বলে একটি কথা আছে।আপনি যদি প্রাইমারী অ্যাপস ডেভেলপার হয়ে থাকেন তাহলে অ্যাপস নিয়ে বিভিন্ন ধরনের দিক নির্দেশনার প্রয়োজন হতে পারে । অ্যাপস এনালিটিক্স ও মার্কেটিং নিয়ে আপনি চাইলে সাহায্য নিতে পারেন localytics নামক ওয়েবসাইট থেকে । আপনি ৩০ দিনের জন্য এদের মেম্বার হয়ে অ্যাপস বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারেন।তাদের ওয়েবসাইটে যেতে এখানে ক্লিক করুন।
আজ এই পর্যন্ত । আবারও দেখা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবার সুস্থাতা কামনায়।
কপি করবেন না , করতে হলে সোর্স উল্লেখ্য করে করবেন।
0 comments:
Post a Comment