বন্ধুরা কেমন আছেন, আশা করি অনেক ভাল আছেন। আপনারা অবগত আছেন বিশ্বব্যাপী অ্যাপসের জয় গান চলছে। সফটওয়্যারের জটিল সব সমীকরণকে পাশ কাটিয়ে প্রযুক্তিগত সমস্যাকে প্রায়োগিক সমাধান দিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে অ্যাপস ডেভেলপাররা। আর সেই সিঁড়িতে ইতিমধ্যে পা রেখেছে বাংলাদেশের অ্যাপস ডেভেলপাররা । প্রযুক্তি বিষয়ে যদি আপনার ভালবাসা থাকে তাহলে আজই নেমে পড়ুন অ্যাপস ডেভেলপমেন্টে। আপনাকে জানতে হবে অ্যাপস ডেভেলপমেন্টের আগের করনীয় গুলো।
১। প্রথমে আপনাকে জানতে হবে আপনি কোন প্লাটফর্মে অ্যাপস বানাতে চান । এখানে দুটি প্লাটফর্ম আছে একটি হচ্ছে, অ্যানড্রয়েড আর একটি হচ্ছে অ্যাপেলের IOS।
যেমন অ্যানড্রয়েড-কে এখন বিশ্ববাজারের মহাশয় বলা চলে, এর জন্য আছে অনেক ওপেন প্লাটফর্ম । এই প্লাটফর্মে অ্যাপস ডেভেলপমেন্টের পর উপর খুব অভিজ্ঞতা ও প্রমাণ প্রয়োজন নেই। ধীরে ধীরে চর্চার মাধ্যমে নিজের উপর আস্থা রেখে এগিয়ে যান, অন্য দিকে অ্যাপলের IOS অ্যাপস আপনার জন্য লাভজনক কারণ এই অ্যাপস গুলো আপনি বিক্রয় করতে পারবেন। ISO ডেভেলপমেন্ট টুল গুলো বেশ উন্নতমানের এবং এটির নিরাপত্তা বেশ ভালো ও সময়োপযোগী।
২। এখন জেনে নিই কি ধরনের ল্যাঙ্গুয়েজ প্রয়োজন হয় অ্যাপস বানানোর জন্য। আপনি যদি IOS মানের অ্যাপস বানাতে চান তাহলে Objective- C জানতে হবে। এই অ্যাপস গুলো IOS সাপোর্ট করে এমন সব ডিভাইস চলবে। পাশাপাশি এই অ্যাপস গুলো ভাল অভিজ্ঞতা দিতে পারে। তবে এই অ্যাপস গুলো এ্ন্ড্রয়েড বা উইন্ডোজ ফোনে কাজ করে না।
জাভা স্ক্রিপ্ট সিএসএস [CSS] এবং এইচটিএমএল [HTML] । অ্যাপস তৈরিতে এই প্রোগ্রামীং ল্যাঙ্গুয়েজ সবচেয়ে বেশি ব্যবহ্নত হয়। জাভা স্ক্রিপ্ট তুলনামূলক ভাবে সহজ। এ্ন্ড্রয়েডের অ্যাপস এই প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে তৈরি হয়। পাশাপাশি ব্যবহার করা হয় সিএসএস [CSS] এবং এইচটিএমএল [HTML] ল্যাঙ্গুয়েজও। এ্ন্ড্রয়েডের অ্যাপস বানানোর জন্য কিভাবে জাভা ব্যবহার করবেন জানতে হলে অ্যানড্রয়েড সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কিটের সাহায্য নিতে হবে। তাদের ওয়েবসাইটে যেতে এখানে ক্লিক করুন। এই লিংকে অ্যানড্রয়েডএ- অ্যাপস ডেভেলপ করার জন্য সব ধরনের সহযোগীতা পাবেন।
গুগলে নতুনদের জন্য অসংখ্য টিউটরিয়ালের বানিয়েছে যা অনুসরণ করে আপনিও অ্যাপস বানাতে পারেন। টিউটরিয়াল গুলো পেতে এখানে ক্লিক করুন।
৩। অ্যাপস সরাসরি ডেভেলপ করে অ্যাপস স্টোরে লোড কারার চেয়ে আগে একটি বেটা (Beta) ভার্সন ডেভেলপ করতে পারেন । এই বেটা ভার্সনটি আপনি আপনার পরিচিত জনদের ব্যবহার করতে দিন এবং তাদেরকে বলুন অ্যাপসটির বিষয়ে যেকোন সমস্যা আপনাকে জানাতে। দেখবেন তাদের ব্যবহারের মধ্যে থেকে বেশ কিছু সমস্যা আপনি পেয়ে যাবেন। এবার সমস্যা গুলো ধাপে ধাপে সমাধান করুন।
৪।আপনি যদি অ্যাপল IOS এ অ্যাপস ডেভেলপ করেন তাহলে অ্যাপলের TestFlight এ গিয়ে আপনি আপনার অ্যাপসটি চেক করে নিতে পারেন। TestFlight সাইটে যাওয়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন । আর আপনি যদি আপনার অ্যাপসটি পরীক্ষা করে নিতে চান তাহলে গুগলের অ্যাপস পিউরিফাই এ পরীক্ষা করে নিতে পারেন । অ্যাপস পিউরিফাই সাইটে যাওয়ার জন্য এই এখানে ক্লিক করুন। এটি আপনার সময় ও শ্রম দুটিই কম খরচ হবে।
৫। ওয়েবসাইটের জন্য যেমন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) করতে হয়, অ্যাপসের জন্যও ASO বা অ্যাপ স্টোর অপটিমাইজেশন করতে হয়। যেমন আপনার অ্যাপসটি যেন সবাই যেন খোঁজ পায়, সেই জন্য সঠিক কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করা। পাশাপাশি আপনার অ্যাপসের জন্য একটি সঠিক ক্যাটাগরি বাছাই করলে আপনার অ্যাপস অনেক বেশি অনলাইন ট্রাফিক পাবে। আর অনেক ট্রাফিক মানে অনেক ডাউনলোড।
৬। আপনার অ্যাপসের জন্য যে স্ক্রীন শর্ট দিবেন তা যেন খুব আকর্ষণীয় ও অর্থবোধক হয় কেন-না ভাল স্ক্রীন শর্ট আপনার অ্যাপস ডাউনলোড অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে। আর ডাউনলোড বেশি মানে আপনি অ্যাপস স্টোর থেকে অনেক রেটিং ও পাবেন।
আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি । আগামী পর্বে অ্যাপস নিয়ে আরও কিছু বিষয় আলোচনা করব ।
পোস্টটি লিখেছেন মইন উদ্দিন
কপি করবেন না, করতে হলে সোর্স উল্লেখ্য করে করবেন। ধন্যবাদ।
কপি করবেন না, করতে হলে সোর্স উল্লেখ্য করে করবেন। ধন্যবাদ।
0 comments:
Post a Comment