ল্যাপটপ কেনার পূর্বে, যা না জানলেই নয় (১ম পর্ব)

ল্যাপটপ

ল্যাপটপের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ঃ

সুপ্রিয় পাঠক কেমন আছেন । আশা করি ভাল আছেন । আজ আপনাদের সাথে ল্যাপটপের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব । কারণ বর্তমান সময়ে ল্যাপটপ সম্পর্কে ধারণা রাখা খুব জরুরী । কাজে লাগতে পারে আপনার নিজের, অফিসের ও কোন বন্ধুর প্রয়োজনে । তাহলে আসুন পরিচিত হই, ল্যাপটপ কেনার আগে আপনাকে যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখতে হবে।

১। ল্যাপটপের র‍্যামঃ

 আপনি যখন ল্যাপটপ কিনবেন লক্ষ্য রাখবেন আপনার ল্যাপটপের র‍্যাম (RAM) যেন ৪ জিবি (4 GB) হয় । এর চেয়ে কম র‍্যাম (RAM) হলে আপনি আপনার ল্যাপটপে নেট ব্রাউজিং বা যেকোন ধরণের সফটওয়্যার ব্যবহার করলে ভাল পারফরমেন্স পাবেন না । আর সব সময় চেষ্টা করবেন আপনার প্রয়োজনের চেয়ে বেশি র‍্যাম (RAM) ব্যবহার না করতে কারণ অতিরিক্ত র‍্যাম (RAM) মানে আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারি লাইফ খুব  তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাওয়া । আর আপনি যদি ফটো /ভিডিও এডিটর বা গেমার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পিসিটি যেন ৬৪ বিটের (64 bit) হয় কারণ ৩২ বিট (32 bit) উইন্ডোজ ভার্সন ৪ জিবির চেয়ে বেশি সিস্টেম মেমোরি ব্যবহার করতে পারেনা ।
ল্যাপটপ র‍্যাম
ল্যাপটপ র‍্যাম
২। ল্যাপটপ কেনার সময় দেখবেন RPM অর্থাৎ (Revolution per minute) রেভুলুউশান পার মিনিট কি রকম । যদি ল্যাপটপের হার্ড ড্রাইভ A 5400 rpm হয় তাহলে তা খুব ধীরগতির পারফরমেন্স দিবে । A 7200rpm হার্ড ড্রাইভ হলে ল্যাপটপ মোটামুটি ভাল পারফরমেন্সের হয়ে থাকে  । আর এর চেয়ে বেশি হলে আপনার বাজেটের সাথে সাথে ল্যাপটপের পারফরমেন্সটাও বেড়ে যাবে ।
ল্যাপটপ RPM
ল্যাপটপ RPM
৩। ল্যাপটপ স্ক্রীনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত আকার বা সাইজগুলো হচ্ছে ১৩ ইঞ্চি বা ৩৩ সেন্টিমিটার , ১৫ ইঞ্চি বা ৩৮ সেন্টিমিটার , ১৭ ইঞ্চি বা ৪৩ সেন্টিমিটার । আপনার রুচি অনুযায়ী বেছে নিন আপনার ল্যাপটপের সাইজ । তবে মনে রাখবেন ল্যাপটপ স্ক্রীনের সাইজ বেড়ে যাওয়া মানে ল্যাপটপের ওজনও বেড়ে যাওয়া আবার এটাও মনে রাখতে হবে যে ছোট স্ক্রীনে রেজ্যুলেশান কম পাবেন ।
ল্যাপটপ স্ক্রীন
ল্যাপটপ স্ক্রীন 
। স্ক্রীন রেজ্যুলেশান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । অধিকাংশ ওয়েবসাইট ১০২৪ × ৮০০ (1024 X 800) রেজ্যুলেশান অপটিমাইজড করা । এই রেজ্যুলেশান দিয়ে আপনি ল্যাপটপে কাজ করতে পারবেন, তবে যারা ল্যাপটপের সামনে লম্বা সময় ধরে কাজ করেন, তাদের জন্য রেজ্যুলেশান ১২৮০ × ৮০০ (1280 X 800) হলে ভাল হয়। আর টাচস্ক্রীন হলে উইন্ডোজ ৮.০/৮.১ ব্যবহার করে দেখতে পারেন ।
ল্যাপটপের ওজন
ল্যাপটপের ওজন 
৫। ল্যাপটপের ওজন , আপনি যদি অফিশিয়াল কাজে ল্যাপটপ ব্যবহার করেন তাহলে ল্যাপটপের ওজন নিয়ে চিন্তা করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার ল্যাপটপ যদি ভারী হয়, তাহলে প্রতিদিনের কাজে ল্যাপটপটি বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতে এবং কাজ করতে স্পৃহা হারিয়ে ফেলতে পারেন । আর যারা আউটসোর্সিং এর কাজ করেন তাদেরকে লম্বা সময় ধরে কাজ করতে হয় । তাই বড় ব্যাটারি আর একটু ওজন বেশি ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারেন ।
তবে এই বিষয় সম্পর্কে (২য় পর্বে) আরও কিছু বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব ।  সবার শুভ কামনায় । আল্লাহ্‌ হাফেজ। 



পোস্টটি লিখেছেন মইন উদ্দিন।
কপি করবেন না, প্রয়োজনে সোর্স উল্লেখ করুন। আর হে ভাল লাগলে নিচের যেকোন একটি সোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
Share on Google Plus

About মইন উদ্দিন

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment